Description
হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ যারা একবার নিয়েছেন তারা কখনও ভুলতে পারবেননা। এখনও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের সকালে নাস্তার তালিকায় মুড়ি থাকবেই।
খুব প্রাচীন কাল থেকেই হাতে ভাজামুড়ি গ্রামবাংলায় খুবই পরিচিত, সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় একটি খাদ্য। বাংলাদেশ এবং ভারতে এটি ঐতিহ্যবাহী খাবার বলে বিবেচিত।
শহর-বন্দরেও যে এর প্রচলন নেই তা কিন্তু নয়। শহরের অনেক বাসায়ও এখনো হাতে ভাজামুড়ি সমানভাবেই সমাদৃত।সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চা এর সাথে ১ মুঠো মুড়িই যেন তৃপ্তি এনে দেয় অগণিত বাঙ্গালীর।
সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে হাতে ভাজা মুড়ি প্রস্তুত করা হয়:-
১. বালিতে ভাজা
২. তেলে ভাজা
তবে আধুনিক কালে সময় এবং শ্রম বাঁচাতে মিল কারখানায় মেশিনেও মুড়িভাজা হয়।কিন্তু স্বাদে-গন্ধে হাতে ভাজা মুড়িই সবসময় সেরা।
হাতে ভাজা মুড়ির চাল প্রস্তুত প্রণালী :
মুড়ি ভাজার আগে মুড়ির চালকে কিছু পদ্ধিতি মেনে প্রস্তুত করে নিতে হয়। এতে করে মুড়িগুলো ভাজতে সুবিধা হয় এবং ভাজার পর খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু হয়।
আপনি যে পদ্ধতিতেই মুড়ি ভাজতে চান না কেন, সব ক্ষেত্রেই আপনাকে আগে মুড়ির চাল ভাজার জন্য প্রস্তুত করে নিতে হবে।
মুড়ি ভাজার জন্য প্রথমেই মুড়ির চাল নিয়ে নিতে হবে। আড়াই কেজি পরিমাণ মুড়ির প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে আজ জানবো ।
মুড়ির চাল দেখতে সাধারণত একটু লালচে প্রকৃতির হয়। এবং এই চাল মোটা-সিদ্ধ চাল।
মুড়ি ভাজার এই চালে প্রচুর ময়লা থাকে। তাই ভাল করে ধুয়ে নেওয়া জরুরী।
খুব ভাল ভাবে চাল ধুয়ে ৪ টেবিল চামচ লবণ দিয়ে সেই চাল মাখিয়ে নিতে হবে।
এরপর মাখানো চাল গুলো ছড়িয়ে রোদের তাপে প্রায় ২০ মিনিটের মত শুকিয়ে নিতে হবে।
রোদে শুকানোর সময় একটু পর পর চালগুলো ভালভাবে নেড়ে দিতে হবে। তা নাহলে চালে দলা পেকে বা জমাট বেধে যাবে।
২০ মিনিট শুকানোর পর চালগুলো শুকিয়ে একদম ঝরঝরে হয়ে যাবে।এখন মাটির চুলা বা উনুনে একটি লোহার কড়াই দিয়ে বেশ ভালভাবে গরম করে নিতে হবে।
কড়াই মোটামুটি গরম হয়ে আসলে সবগুলো চাল কড়াইয়ে দিয়ে ১২-১৫ মিনিট পর্যন্ত তাড়িয়ে নিতে হবে। অর্থ্যাৎ চালগুলো হালকা গরম করে ভেজে নিতে হবে।
এসময় চুলার আঁচ মৃদু থাকবে।
উল্লেখ্য, এসময় চালগুলো অনবরত নেড়ে যেতে হবে। তানাহলে অতিরিক্ত তাপে চাল ফুটে যেতে শুরু করবে।
Reviews
There are no reviews yet.