Description
Lal Chini – হাতে তৈরি আখের লাল চিনি :
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ জেলার ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি লাল চিনি হচ্ছে দেশের জন্য একটি বিশেষ খাদ্য উপাদান। এই চিনি তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং শতভাগ বিশুদ্ধ। এটি কেবলমাত্র আখের রস থেকে তৈরি হয়, যা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। পিঠা, পায়েস, নাড়ু, মোয়া এবং ক্ষীরের মতো মিষ্টান্ন তৈরিতে এই চিনিটি অতুলনীয় স্বাদ এবং গুণমান যোগ করে।
প্রস্তুতির প্রক্রিয়াঃ
আখের লাল চিনির কাঁচামাল হলো আখ। আখের রস আগুনে জাল দিয়ে তৈরি করা হয়। পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলে। আখ মাড়ানোর জন্য লোহার চাপ যন্ত্র অথবা গরু-মহিষ দ্বারা ঘানি টেনে রস বের করা হয়। চুলায় লোহার বড় কড়াইয়ে রস জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়, এবং শেষে এটি ঠান্ডা হয়ে মিহি লাল দানায় রূপ নেয়।
লাল চিনির উপকারিতাঃ
* লাল চিনির মোলাসেস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
* এতে বিদ্যমান ফলিক এসিড দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
* এ চিনি দেহে রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
* লাল চিনির খাদ্য উপাদান অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ক্ষুধামান্দ্য দূর করে।
* এ চিনির উপাদান হজমে সহায়তা করে।
* আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় প্রসব-পরবর্তী সময়ে মায়েদের জন্য উপকারী।
* লাল চিনি ত্বক চর্চায় ব্যবহার হয়।
*সর্দিজ্বর হলে লাল চিনি এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা কুচি ও লাল চিনি মিশিয়ে খেলে
সর্দিজ্বর দ্রুত ভালো হয়।
*ত্বক পরিচর্যায় লাল চিনি ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে
ব্যবহার করা যায়।
*প্রতিদিন একবার করে এ মাস্ক ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয় এবং
ত্বক উজ্জ্বল হয়।
▶ প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লাল চিনি খেলে হাড় শক্তপোক্ত হয়। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। ক্যাভিটি এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কাও দূর হয়।
▶ আখের অ্যাটিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং শরীরের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়।
▶ লিভার সুস্থ রাখে।
▶ জন্ডিসের প্রকোপ কমায়।
▶ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
▶ আখে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
▶ শরীরে মিনারেল তথা খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে, যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
▶ শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
লাল চিনি রিফাইন বা পরিশোধন করতে গিয়ে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর হয়ে যায়। চিনি পরিশোধ করতে ব্যবহার করা হয় সালফার এবং হাড়ের গুঁড়া।অনেকগুলো উপকারী বা বিধব্বংসী দিক থাকার কারণেই ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন সাদা চিনিকে ‘বিষ’ বলেছেন। তাই সাদা চিনি বাদ দিয়ে তিনি লাল চিনি খাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
আসুন আমরা সবাই সাদা চিনির পরিবর্তে লাল চিনি ব্যবহার করি, সুস্থ থাকি।
Mr Suhag (verified owner) –
আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো চিনি। আমার বাড়ী ফুলবাড়ীয়াতে। এখন আছি অনেক দূরে,তাই অনলাইনে নিলাম। চিনি খুবই ভালো। সবাই নিতে পারেন।